খুঁজুন
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ, ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তলসহ নিলয় গ্রেফতার।

দেশবাণী২৪ডটকম
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:২৭ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তলসহ নিলয় গ্রেফতার।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিদেশি অত্যাধুনিক পিস্তলসহ এসএম ফাইয়াজ হাসান নিলয় (৩১) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়ার বেবি বেগমের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আমেরিকার তৈরি একটি অত্যাধুনিক পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া এসএম ফাইয়াজ হাসান নিলয় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কাওঢাইল পূর্ব পাড়ার মনসুর হাজির ছেলে। বর্তমানে তারা সপরিবারে ফতুল্লা মডেল থানার নিউ চাষাঢ়া জামতলা এলাকায় বসবাস করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও স্থানীয়দের সহায়তায় ফতুল্লা থেকে আমেরিকার তৈরি পিস্তল এবং গুলিবিহীন ম্যাগাজিনসহ এসএম ফাইয়াজ হাসান নিলয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত মুকুল নিহত

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত মুকুল নিহত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে মুকুল (৪৫) নামে এক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের মাহমুদপুর ইউনিয়নের জোগারদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল জোগারদিয়া চকে স্থানীয় এক সেচ পাম্পের ড্রেনের ওপর বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। স্থানীয় কিছু লোকজন টের পেয়ে ডাকাত দলকে ঘেরাও করে। এসময় ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মুকুলকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা মুকুলকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে থানা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেইসঙ্গে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, নিহত মুকুল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজারসহ বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতিসহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে।

নতুন বছরে তারেক রহমানের বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
নতুন বছরে তারেক রহমানের বার্তা

নতুন বছরে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছর উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্টে তারেক রহমান বলেন, আমরা নতুন বছরে বাংলাদেশের জন্য একটি রূপান্তরমূলক অধ্যায়ে পা রাখছি। আসুন সাম্য, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। আমরা এমন একটি জাতি গড়তে আকাঙ্ক্ষা করি, যেখানে প্রতিটি নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করব, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করব এবং জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করব।

থার্টি ফার্স্ট নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লার পোস্ট

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১১ অপরাহ্ণ
থার্টি ফার্স্ট নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লার পোস্ট

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রকৃতি পূজারীরা বছরের প্রথম দিন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠত। অথচ আজকের বিজ্ঞানমনস্করা সেই অবান্তর উৎসবকে ধুমধাম করে পালন করতে সবচেয়ে উৎসাহী। থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

আহমাদুল্লাহ প্রশ্ন রেখে বলেন, বিগত বছরগুলোতে এই উন্মাদনার বলি হয়েছে শিশু উমায়ের। ধ্বংস হয়েছে সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা এক বোনের প্লাস্টিক কারখানা। বিপন্ন হয়েছে শত শত পাখি ও কুকুর-বিড়ালের জীবন। বর্ষবরণের নামে আমদানি করা এই অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে উপরের ঘটনাগুলোই কি যথেষ্ট নয়?

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আশার খবর হলো, সরকার এ বছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি এই অনাচার করতে চায়, তবে প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীল বিবেকবান মানুষের এই অনাচার বন্ধে সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

জনপ্রিয় এই ইসলামি আলোচক বলেন, নতুন বছরে আমরা কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ শুনতে চাই না। আমরা ফানুসের আগুন, শব্দদূষণ, পশুপাখি ও বৃদ্ধ-শিশুদের আতঙ্কমুক্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে চাই।

কমেন্টে বক্সে তিনি আরও বলেন, নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের কারণ হয়, তবে পুরনো বছরের বিদায় বেদনার কারণ হওয়া উচিত। নববর্ষে যারা আনন্দ উদযাপন করে, হারিয়ে ফেলা বছরটির জন্য তারা কি কখনো বেদনা অনুভব করে?

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যে শহরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার, সেই শহরের যুবকেরা যখন আকাশে ফানুসের আগুন নিয়ে খেলা করে, তাদের বুক কি একটুও কেঁপে ওঠে না দুর্ঘটনার শঙ্কায়! আমরা জীববৈচিত্র্যের কথা বলি। প্রকৃতির শোভা বর্ধনে পাখিদের অবদানের কথা বলি। অথচ উৎসবের নামে অযৌক্তিক এই উন্মাদনার কারণে যে আমাদের পরিবেশ ও প্রাণীবৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, তার বেলায় আমরা কেন চুপ!