খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

বিএনপির বহিস্কৃত সুলতান এবার মুক্তি পরিষদে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:০০ অপরাহ্ণ
বিএনপির বহিস্কৃত সুলতান এবার মুক্তি পরিষদে

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বহিস্কৃত অবস্থায় থাকার পর এবার সুবিধা অনুযায়ী জাকির খানের মুক্তি পরিষদে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে বিএনপির সুবিধাজনক অবস্থান দেখে যে কোনো উপায়েই হোক বিএনপিতে ঠাঁই নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই সুলতান আহমেদ। সেই সাথে সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনে বিএনপির ভোটারদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এখন থেকই চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুলতান আহমেদের রাজনীতি জীবন শুরু হয় জাতীয় পার্টির মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের হাত ধরে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতি শুরু করেন। সেই সাথে জাতীয় পার্টি থেকে ২২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এদিকে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল সুলতান আহমেদের শ্বশুড় বাড়ির দিকে আত্মীয় হন। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সেই আত্মীয়তার সূত্র ধরে বিএনপিতে যোগ দেন। আতাউর রহমান মুকুলের একছত্র আধিপত্যের বলে তিনি বিএনপিতে পদায়ন হয়ে যান। সেই সাথে বিএনপির ভোটারদের সমর্থনের তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে তিনি জাতীয় পার্টির মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। তাই বিএনপির ক্ষমতা হারানোর পর তিনি আবারও ওসমান পরিবারের আশ্রয়ে আসেন। একই সাথে তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে সকল নির্বাচনে কাজ করেন। পাশপাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওসমান পরিবারের সদস্যদের পক্ষে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদেরকেও বের করে দিয়েছেন।

সবশষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে প্রচারণা করতে গিয়ে বিএনপিতে থেকে বহিস্কৃত হন। অনেকদিন এই বহিস্কৃত অবস্থায় থাকার পর এবার আবারও সুলতান আহমেদ বিএনপিতে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন। সে লক্ষ্যে তিনি জাকির খানের মুক্তি পরিষদে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। একই সাথে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

এই সমাবেশে অন্যান্য অতিথিদের সাথে বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক সুলতান আহমেদ উপস্থিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সেলিম ওসমানের পক্ষে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। তাদের সাথে আরও দুইজন বিএনপি নেতা উপস্থিত হয়েছিলেন।

তাদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, এদেরকে আমি ভালোবাসি ওরা আমাকে ভালোবাসে। আমরা আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি করি ওরা আমাদের ভাই। আমি বারবার বলেছি আমার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের পুলিশ যেন তাদের ডিস্টার্ব না করে। ওরা আমাদের সাথে থাকবে। ওরা আমাদের সাথেই ৭ তারিখে ভোট দেয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করবে। বন্দরের বিএনপিরা আমাকে বলেছে আমরা কোনো রকমের ডিস্টার্ব করবো না। আমাদের ১৪ গোষ্ঠী নিয়ে সময়মতো আপনাকে ভোট দিতে যাবো।

সেলিম ওসমানের এই বক্তব্যের পরই সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সুলতান আহমেদ সহ বিএনপির ৬ জন নেতা বহিস্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্কলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিস্কারের কথা বলা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।

এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক দল জাতীয় পার্টি ব্যাকফুটে চলে যায়। সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আত্মগোপনে চলে যান। সেই সাথে আওয়ামী লীগের ব্যাকফুটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসে বিএনপি।

বিএনপির এই সুবিধাজনক অবস্থান দেখে আবারও বিএনপিতে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন সুলতান আহমেদ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বর্তমান বিএনপিতে আলোচনায় থাকা জাকির খানের পক্ষ নিয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়তই জাকির খানের মুক্তির দাবীতে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। জাকির খানের মুক্তির দাবীতে তিনি সরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সেই সাথে ভবিষ্যতের জন্য বিএনপিতে তার অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা করছেন।

সূত্রঃ সময়ের নারায়ণগঞ্জ

বন্দরে বহিষ্কৃতরা চাচার পাশেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
বন্দরে বহিষ্কৃতরা চাচার পাশেই

বন্দর প্রতিনিধিঃ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। সাথে তার একান্ত অনুনারী নাসিক সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, হান্নান সরকার, গোলাম নবী মুরাদও বহিস্কৃত হন সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নির্বচনী জনসভার মঞ্চে উঠে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছর এরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে বহাল তবিয়তেই ছিলেন। বিএনপি থেকে বহিস্কার হয়ে মিডিয়াতে বলেছিলেন আলহামদুলিল্লা। তবে ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পরেন বেকায়দায়। দলে ফিরতে বিএনপির বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হাজির হতে দেখা গেছে বহিষ্কৃতদের। সুলতানকে দেখা গেছে বিএনপির বিতর্কিত নেতা জাকির খান মুক্তি পরিষদের মিছিলেও। তবে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে দলে ফেরার চেষ্টায় আছেন আতাউর রহমান মুকুল। ধরনা দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুয়ারে। কানাঘুসা আছে দলে ফিরতে একাধিকবার বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ এক নেতার সাথে। তবে এ বৈঠক শহরের এক অভিজাত ক্লাবে গোপনীয়তার মধ্যে হয়েছে। এর মাঝে ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে বিশাল বিজয় মিছিল করেন আবুল কাউছার আশা আর বন্দরে পৃথক বিজয় মিছিল করেন চাচা আতাউর রহমান মুকুল। তাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চাচা মুকুল ও ভাতিচা আশার মধ্যে।

বিগত দিনে আবুল কাউসার আশা ও আতাউর রহমান মুকুল একজোট হয়েই রাজনীতি করেছে। তাদের মধ্যে বেশ ভালো রসায়ন থাকলেও এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য। কেউ কারো সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিলে আগে নেতাকর্মীরা বিব্রতকর অবস্থায় পরে। মুকুলের ঘনিষ্ঠ বহিষ্কৃত সুলতান ও হান্নানকে দেখা যায় আশার প্রস্তুতি সভায়। ধারনা করা হয়েছিল বিজয় মিছিলে তারা আশার পাশেই থাকছেন। চাচা মুকুলের প্রোগ্রাম ফ্লপ হবে এবং তার রাজনীতির জবনিকা টানা হবে ১৬ই ডিসেম্বর। কিন্তু সকল ধারনাকে ভুর প্রমান করে মুকুল বন্দরে বিশাল বিজয় মিছিল করে তাক লাগিয়ে দেন এবং এই র‌্যালীতে পাশেই ছিলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার সহ তাদের অনুসারীরা। মুকুলের অনুসারী এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় অনেকে মন্তব্য করেন মুকুল বন্দরের রাজনীতির রাজা। অতীতে তার হাতেই বন্দরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও নয়টি ওয়ার্ডের সকল ইউনিট কমিটি গঠন হয়। মুকুলের হতে গড়া সংগঠন পাশে থেকে মুকুলের মান রেখেছে।

আরও একটি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
আরও একটি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

আরও একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব মাহমুদ হাসানসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৬০ নেতাকর্মী। ১০ বছর আগে গাজীপুরে বিস্ফোরক আইনে এ মামলা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রেহেনা আক্তার এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও নাশকতার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জয়দেবপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আবুল হাসেম মামলাটি করেন। এজাহারে নাম না থাকলেও অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশে জয়দেবপুর থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকার কুলিয়ারচর গার্মেন্টসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সহিদউজ্জামান বলেন, এজাহারে তারেক রহমানের নাম ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের পরামর্শে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে এ মামলার চার্জশিটে তারেক রহমানের দাম দেওয়া হয়েছিল।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ১৬ বছর আগে করা কর ফাঁকির মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।

এক খন্ড জমির, একাধিক অংশীদার!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:২৮ অপরাহ্ণ
এক খন্ড জমির, একাধিক অংশীদার!

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বেশ কয়েকদিন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে।সরকার পতনের পট পরিবর্তনে অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন জনপ্রতিনিধি হবেন।কেউ দেখছেন মেম্বার হবেন,আবার কেউ দেখছেন চেয়ারম্যান হবেন।এমন প্রত্যাশা কে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন অনেকেই।সম্প্রতি আড়াইহাজার উপজেলার প্রত্যেকটা ইউনিয়নে দেখা যায় এমন সরব চিত্র। তবে বিএনপি খ্যাত হাইজাদী ইউনিয়নে দেখা গিয়েছে একটু ভিন্ন চিত্র।এই এলাকায় একাধিক চেয়ারম্যান প্রত্যাশি থাকলেও মাঠের রাজনীতিতে অনেকের নেই কোন বিচরণ। বিপরীতে অনেকে আবার আগ থেকেই তৈরি করে রেখেছেন বিশাল কর্মী বাহিনী।

এমনই একজন ব্যক্তি হলেন, হাইজাদী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি অলি উল্লাহ অলি।তিনি রাজনীতির শুরু থেকেই দেখা গেছে নিজ ইউনিয়ন এর কর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে কাজ করতে।নিজের ইউনিয়ন এর বাহিরে তার কোন মাথাব্যথা ছিল না।ইউনিয়ন এর প্রত্যেকটা গ্রামে রয়েছে তার বিশাল কর্মী বাহিনী ও সুপরিচিতি।ছোট বড় সব শ্রেণীর লোকজন তাকে এক নামে চিনেন।তার বাবা দেলোয়ার হোসেনেরও রয়েছে নিজ ইউনিয়নে ব্যাপক পরিচিতি।সম্প্রতি সরকার পতনের পর কর্ম সময় বাদে অলি দিয়ে যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে সময়।সময় কাটাচ্ছেন চায়ের আড্ডায় ও গল্পে। কথার ছলে স্বপ্নের ইউনিয়নকে সাজানোর রুপরেখা দিচ্ছেন। যেখানেই তার বিচরণ সেখানেই যেন তৈরি হচ্ছে অলির সঙ্গে জনসাধারণের মধুর সঙ্গতা।এ যেন দীর্ঘদনের মেলবন্ধন।

মীর রেজাউল। সদা হাস্যমুখ ও সাদা মনের মানুষ।শিক্ষানুরাগী ও মানবসেবায় ব্রত এই রাজনীতিবিদ রাজনীতির মাঠে তেমন সরব নেই।তবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নেই কোন বিতর্কিত কর্মকান্ড।অনেকটা কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনীতি। ক্লিন ইমেজ খ্যাত এই রাজনীতিবিদকেও সময় মতো হয়তো ঢাকঢোল বাজিয়ে দেখা যেতে পারে জাগানিয়া দিতে।কিন্তু ঐসময় জনসাধারণ তাকে কতটা বুকে টেনে নিবেন দেখার বিষয়।

জহিরুল ইসলাম জহির। তিনি রাজনীতিতে একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ।একবাক্যে শিকার করেন ব্যাপক থানা ব্যাপী বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।তবে নিজ ইউনিয়নে তেমন কোন কর্মীবলয় তৈরি করতে পারেননি তিনি।কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলয়ের যে কজন একনিষ্ঠ কর্মী আছেন তার মধ্যে অন্যতম তিনি।বিএনপির দু:সময়ে অনেকটা ধরাকে সরা করে বেশ ভালই ছিলেন এখনো বেশ আছেন তিনি।হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে তার তেমন কর্মী না থাকলেও থানা ব্যাপী রয়েছে বিশাল কর্মী ও সমর্থক।অনেকের চোখে তিনি জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন নেতার ছত্রছায়ায়। তবে একথাও সত্যি সুমন বলয়ের কেউ তার মতো রাজনীতিতে এতটা সুবিধা করতে পারেনি।বিএনপির রাজনীতিতে ও অনেক কর্মীদের রোষানলে থাকেন তিনি প্রত্যেকটা সময়।যার ফলে আগামী দিনে প্রত্যাশার লক্ষে পৌঁছাতে মসৃণ নাও হতে পারে তার পথ।

সফিউল আলম সবুজ। একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ।তিনি নিজেকে হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দাবি করলেও ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ এর বলয়ের লোকজন তা মানতে নারাজ। মফিজুলকে তারা দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তার কারন ও আছে বেশ।কারন সবুজের অবস্থান অনেকটা সুবিধাবাদীদের মতো।পদ লেহনের লোভে মাঝে আজাদ বলয়ে থাকলেও মূলত তিনি এখন সুমন বলয়ের কর্মী।তবে সবুজ প্রয়াত বিএনপি নেতা খসরু’র একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে প্রত্যাশিত নেতাদের মধ্যে তিনি সিনিয়র রাজনীতিবিদ হলেও বলয় ছুট হিসেবে খ্যাত পদবীটা তাকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে।কারণ রাজনীতিতে নেতার বা নীতিনির্ধারকদের আর্শীবাদ না থাকলে বেশ দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না।তাছাড়া সরকার পতনের আগে কিংবা পরে তেমন কোন চমক দেখাতে পারেনি সবুজ।যা নেতার সুদৃষ্টিতে আসার মতো বলে মনে করছেন না তৃণমূল বিএনপি।

জাকির হোসেন।তিনি বিগত দিনে জনপ্রতিনিধির স্বাদ গ্রহন করতে সক্ষম হলেও এবার একটু ভিন্ন রকম স্বাদ গ্রহন করার আয়েশ দেখা যাচ্ছে।তবে সত্যিকার অর্থে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ।বিগত দিনে তিনি নির্বাচন নিয়ে আছে বেশ অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতাকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়ে হতে পারেন ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান এটা সম্ভব কিছু নয়।

অন্যদিকে, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিব আহমেদ, যুবদল সদস্য সচিব মেহেদী হাসান রানার তেমন কর্মী বাহিনী না থাকলেও আছেন দুষ্ট প্রকৃতি গুটি কয়েক লোক।সম্প্রতি রানার বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক গ্রেফতার হয়েছেন।তিনি নিজেও হয়েছেন দলীয় পদ থেকে অব্যবতি যদিও পরে তিনি রাতের আধারে উঠিয়ে নিতে সক্ষম হন।তারাও স্বপ্ন বুনছেন জনপ্রতিনিধি হবেন।

এদিকে তৃণমূলের দাবি, দীর্ঘদিন পর বিএনপি নেতা ক্ষমতার স্বাদ নিতে পারচ্ছেন। একজন রাজনীতিবিদ তার ক্ষমতার সর্বস্ব ব্যবহার করবেন এমন প্রত্যাশা করা দোষের কিছু নয়।তবে আমরা এমন কোন সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী নেতাকে চাই না যার হাতে আমাদের প্রাণের ইউনিয়ন নিরাপদ নয়।যিনি নিজের পেটভুড়ি ভর্তি করতে ক্ষমতায় যেতে চান।আমরা চাই একজন সৎ, ধার্মিক,মানবিক, শিক্ষানুরাগী ও আদর্শিক গুনাবলী সম্পন্ন জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব নেতা।যার ক্লিন ইমেজই হবে তার ভোট ব্যাংক।