খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১ বৈশাখ, ১৪৩২

বাংলাদেরে প্রথম সেনাপ্রধান কেএম সপিউল্লাহ আর নেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেরে প্রথম সেনাপ্রধান কেএম সপিউল্লাহ আর নেই

বাংলাদেশের প্রথম ও সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য, ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধ কালীন এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন। আজ ২৬জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জানা গছে, ১৯৩৪সালের ২সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে পড়া অবস্থাতেই যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৫৫ সালে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালে ডিফেন্স স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি করেন। তিনি স্কুল অব ইনফেন্টিতে প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৭০ সালে পদোন্নতি পেয়ে আবার ব্যাটেলিয়নে ফিরে আসেন কেএম সফিউল্লাহ।

১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন। তাঁর খেতাবের সনদ নম্বর দুই। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার। পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা এস ফোর্সের প্রধান হন।

মুক্তিযুদ্ধের আগে কেএম সফিউল্লাহ ছিলেন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কেএম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৩নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন কেএম সফিউল্লাহর। তাঁর অধীনে থাকা ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ। মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর মাসে তাঁর নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় এস ফোর্স। এই ফোর্সের অধীনে ছিল দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ১১নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। কেএম সফিউল্লাহর নির্দেশে ও নেতৃত্বে অসংখ্য দুর্ধর্ষ ও সফল অপারেশন পরিচালিত হয়। তিনি এসব অপারেশনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেন।

কেএম সফিউল্লাহর পরিকল্পনায় সিলেটের একাংশ, আশুগঞ্জ, ভৈরব ও মাধবপুর হানাদারমুক্ত হয়। তাঁর নেতৃত্বে হানাদারমুক্ত হয় আশুগঞ্জ, ভৈরব, লালপুর, আজবপুর, সরাইল, শাহবাজপুর, মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর।

৬ডিসেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে কেএম সফিউল্লাহ আশুগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর এক জেসিও প্রায় লাফিয়ে কেএম সফিউল্লাহকে জাপটে ধরে তীব্র ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে কেএম সফিউল্লাহকে লক্ষ্য করে তিনি স্টেনগানের ট্রিগার চাপেন। এসময় কেএম সফিউল্লাহর কোমরে বাঁধা পিস্তলে গুলি লাগে। কেএম সফিউল্লাহর জেসিওর মাথায় কয়েক দফা আঘাত করতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান জেসিও। কেএম সফিউল্লাহ রাইফেল নিয়ে তাদের গুলি করতে গিয়ে দেখেন রাইফেল ভাঙা। কোমরে থাকা পিস্তলও বিধ্বস্ত। এ সময় কেএম সফিউল্লাহ কচুরিপানা আর কাদাপানিতে ডুবে প্রাণে বেঁচে যান।

মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেএম সফিউল্লাহ। ১৯৭৩ সালের তিনি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে আসলে তাঁকে ১ বছরের জন্য ওএসডি করে রাখা হয়। ১৯৯২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে জান। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩সালে রূপগঞ্জ গ্রামে তাঁর পিতার নামানুসারে কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন।

দেশ ও মানুষের কল্যাণে সুন্দর আড়াইহাজার গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।।আজাদ

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
দেশ ও মানুষের কল্যাণে সুন্দর আড়াইহাজার গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।।আজাদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণে সুন্দর আড়াইহাজার গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। যেখানে থাকবে না কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। আসুন ইফতারের আগ মুহূর্তে আমরা আজকে এই শপথ গ্রহণ করি।

বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ) বিকেলে আড়াইহাজারের পাচরুখীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় সতগ্ৰাম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের ইফতার মাহফিল থেকে আপনারা বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন। তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেনো আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। দোয়া করবেন প্রয়াত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর জন্য আল্লাহ যেন তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। এবং সর্বোপরি আপনারা দোয়া করবেন জিয়া পরিবার ও দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই সকল শহীদদের জন্য। দোয়া করবেন আমাদের সকলের পছন্দের নেতা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জনাব তারেক রহমানের জন্য। তিনি যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ ও দীর্ঘায়ু দান করেন আমিন।

সাতগ্ৰাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ মান্নান মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আতাউর মেম্বারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, বিএনপির সহ-সভাপতি শাকিল মিয়া, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূঁইয়াসহ আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

“ধর্ষনকারীদের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে।। পারভীন”

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
“ধর্ষনকারীদের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে।। পারভীন”

আজ ১৯ মার্চ রোজ বুধবার আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা দলের উদ্যোগে আড়াইহাজার আশিক সুপার মার্কেটে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সম্ভাব্য এম.পি প্রার্থী পারভীন আক্তার বলেন, ধর্ষন মহামারী রুপ নেওয়ায় ধর্ষনকারীদের সনাক্ত করে প্রকাশ্যে বিচারের দাবী জানান বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে। বর্তমানে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিভিন্ন অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, গণতন্ত্র হুমকীর মুখে পড়ছে। দেশে বিদেশে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে গণতহ্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা। পারভীন আক্তার আরও বলেন নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় আছেন দেশবাসী, আমরা আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদের মতো পুলিশী রাষ্ট্র চাই না। আমরা চাই রাষ্ট্রের মালিক থাকবেন দেশের জনগন। আমাদের নেতা বি.এন.পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে সেই ভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দলের নাম ভাঙিয়ে যারা চাদাবাজী সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুতের মাধ্যমে ইতিমধ্যে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান। পারভীন আক্তার তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শিরিন সুলতানা মেম্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বি.এন.পির সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ মিয়া চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন অনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতিসংদের আহবায়ক ও যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোল্লা, আড়াইহাজার উপজেলার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতিসংদের সভাপতি তসলিম উদ্দিন লিটন, জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম খোকন, আড়াইহাজার উপজেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম মিয়া, আড়াইহাজার পৌর বি.এন.পির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন আলাবক্স, বিশনন্দী ইউনিয়ন বি.এন.পির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার্দী মিয়া, আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা বেগম মেম্বার, আড়াইহাজার পৌর মহিলা দলের সভাপতি মাসুদা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক মাছুমা বেগম, সরকারি সফর আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম, আড়াইহাজার উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহজালাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের প্রচার সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ, আড়াইহাজার উপজেলা জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত জিকু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসাসের মহিলা সম্পাদিকা সুফিয়া বেগম, আড়াইহাজার পৌর জাসাস এর সিনিয়র সহ সভাপতি তাহের আলী, আড়াইহাজার উপজেলা জিয়া মঞ্চের সাবেক আহবায়ক শিকদার আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত সিদ্দিক, আড়াইহাজার উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, আড়াইহাজার উপজেলা জিসাস এর সভাপতি শাহাদাত হোসেন বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়া ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তিকামনায় মোনাজাত করা হয়।

তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ফেরদৌস ও এ এস আই আলামিন এর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ফেরদৌস ও এ এস আই আলামিন এর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিয়োগ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ও এ এস আই মোঃ আলামিন এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মাসুম।গত (২ই ফেব্রুয়ারি)রোজ বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জনাব, যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মাসুম (৩০), পিতা- আলী, মাতা- মোসাঃ বেবী বেগম, সাং- ব্রাহ্মন বাওগাঁ, ডাকঘর- মহজমপুর- ১৪৪০, থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জ আপনার কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া বিবাদী ১) মোঃ ফেরদৌস, তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ, ২) মোঃ আলামিন, তালতলা পুলিশ ফাড়ীর এ.এস.আই-দের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি এবং জামপুর ইউনিয়নের যুবদলের ইউনিয়ন সেক্রেটারী পদপ্রার্থী। গত ১৭/০২/২০২৫ ইং তারিখে একটি ব্যাটারী চুরিকে কেন্দ্র করে তালতলা পুলিশ ফাঁড়ীর এ.এস.আই আলামিন রাত্র আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ১ জনকে হাতেনাতে বাটারী সহ ধৃত করেন এবং তাহার সঙ্গীয় আরও ২ জনকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করিয়া ফাঁড়িতে নিলে, আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে অবগত হইয়া থানায় উপরোক্ত বিষয়ে উক্ত বিবাদীদ্বয়কে শুধু জিজ্ঞাসা করেছি যে, মামলার আসামী কয়জন তখন বিবাদীদ্বয় বলে যে, আসামী ৩ জন।

পরবর্তীতে আমি আসামীর লিষ্ট গুলো দেখিয়া বলি যে, আপনারা শুধু ২ জন আসামী রেখেছেন আরেক জন আসামী কোথায়? তখন উক্ত ১নং বিবাদী আমার কথায় কোন প্রকার জবাব প্রদান না করিয়া আমাকে হুমকি ধমকি প্রদান করে। তখন আমি খোঁজ নিয়া জানিতে পারি যে, উক্ত ১ ও ২ বা পরস্পর যোগসাজসে আওয়ামী দালাল চক্রের লোকদের নিকট হইতে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা গ্রহণ করে উক্ত ব্যাটারী চুরির মূল আসামীকে ছেড়ে দেয়। তখন আমি এই বিষয়ে বিবাদীদেরকে বলি যে, আপনারা উক্ত ব্যাটারী চুরির মূল আসামীকে কেন ছেড়ে দিলেন? তখন এই কথা বলার পর উক্ত বিবাদীদ্বয় আমাকে উপস্থিত সকলের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া হুমকি দেয় যে, আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াইবে।

তখন আমি উক্ত ফাঁড়ি ত্যাগ করে চলে আসি। পরবর্তীতে উক্ত ব্যাটারী চুরির ঘটনায় ২ জন আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করিলে, অত্র ব্যাটারী চুরির অভিযোগকারী/বাদী কোর্টে এসে দেখিতে পায় যে, ৩নং আসামী আমাকে করা হইয়াছে। তখন বাদী/অভিযোগকারী আমার সাথে যোগাযোগ করিয়া আমাকে উক্ত বিষয়ে অবগত করান এবং বলে যে, তাহার স্বাক্ষর এজাহার দায়েরের পূর্বে সাদা কাগজে নিয়েছে এবং স্বাক্ষর না দিলে ব্যাটারী ফেরৎ দিবে না বলিয়া উক্ত অভিযোগকারী/বাদীকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করেন এবং উক্ত এজাহারে উক্ত বিবাদীয় সুকৌশলে অভিযোগকারী/বাদীর অজ্ঞাতসারে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়া দিয়াছে। মূলত উক্ত ব্যাটারী চুরির অভিযোগকারী/বাদী আমাকে চিনেন না এবং সে আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ দায়ের করেন নাই। যাহা অভিযোগকারী/বাদীর অডিও রেকর্ডীং রহিয়াছে এবং প্রয়োজনে সে সাক্ষাতেও যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন তাহা করিতে ইচ্ছুক রহিয়াছে এবং অত্র বিবাদীদ্বয় প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন মহোদয় যেন, আমার উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে উক্ত বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া আমাকে সোনারগাঁও থানার মামলা – ২২ (২) ২০২৫ মামলা হইতে অব্যাহতি/খালাস প্রদানের আদেশ দিলে, মহোদয়ের নিকট চির কৃতজ্ঞ ।