খুঁজুন
বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ পৌষ, ১৪৩১

এবার শাহরিয়ার কবির গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
এবার শাহরিয়ার কবির গ্রেফতার

সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের অনুসারী সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের ধরপাকড়ের ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেফতার হলেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ও লেখক শাহরিয়ার কবির।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।

ওসি জানান, তাকে মহাখালী এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে আগামীকাল আদালতে তোলা হবে।

২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘নির্বিচারে হত্যা ও লাশ গুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’র অভিযোগ যে ক’জনের নামে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে শাহরিয়ার কবিরের নাম রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় করা এ সংক্রান্ত আবেদনে পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের নাম রয়েছে। গত ২০ আগস্ট এ আবেদন করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী।

এমআইকে/জেবি

নতুন বছরে তারেক রহমানের বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
নতুন বছরে তারেক রহমানের বার্তা

নতুন বছরে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছর উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্টে তারেক রহমান বলেন, আমরা নতুন বছরে বাংলাদেশের জন্য একটি রূপান্তরমূলক অধ্যায়ে পা রাখছি। আসুন সাম্য, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। আমরা এমন একটি জাতি গড়তে আকাঙ্ক্ষা করি, যেখানে প্রতিটি নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করব, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করব এবং জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করব।

থার্টি ফার্স্ট নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লার পোস্ট

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১১ অপরাহ্ণ
থার্টি ফার্স্ট নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লার পোস্ট

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রকৃতি পূজারীরা বছরের প্রথম দিন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠত। অথচ আজকের বিজ্ঞানমনস্করা সেই অবান্তর উৎসবকে ধুমধাম করে পালন করতে সবচেয়ে উৎসাহী। থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

আহমাদুল্লাহ প্রশ্ন রেখে বলেন, বিগত বছরগুলোতে এই উন্মাদনার বলি হয়েছে শিশু উমায়ের। ধ্বংস হয়েছে সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা এক বোনের প্লাস্টিক কারখানা। বিপন্ন হয়েছে শত শত পাখি ও কুকুর-বিড়ালের জীবন। বর্ষবরণের নামে আমদানি করা এই অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে উপরের ঘটনাগুলোই কি যথেষ্ট নয়?

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আশার খবর হলো, সরকার এ বছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি এই অনাচার করতে চায়, তবে প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীল বিবেকবান মানুষের এই অনাচার বন্ধে সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

জনপ্রিয় এই ইসলামি আলোচক বলেন, নতুন বছরে আমরা কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ শুনতে চাই না। আমরা ফানুসের আগুন, শব্দদূষণ, পশুপাখি ও বৃদ্ধ-শিশুদের আতঙ্কমুক্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে চাই।

কমেন্টে বক্সে তিনি আরও বলেন, নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের কারণ হয়, তবে পুরনো বছরের বিদায় বেদনার কারণ হওয়া উচিত। নববর্ষে যারা আনন্দ উদযাপন করে, হারিয়ে ফেলা বছরটির জন্য তারা কি কখনো বেদনা অনুভব করে?

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যে শহরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার, সেই শহরের যুবকেরা যখন আকাশে ফানুসের আগুন নিয়ে খেলা করে, তাদের বুক কি একটুও কেঁপে ওঠে না দুর্ঘটনার শঙ্কায়! আমরা জীববৈচিত্র্যের কথা বলি। প্রকৃতির শোভা বর্ধনে পাখিদের অবদানের কথা বলি। অথচ উৎসবের নামে অযৌক্তিক এই উন্মাদনার কারণে যে আমাদের পরিবেশ ও প্রাণীবৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, তার বেলায় আমরা কেন চুপ!

নিষেধাজ্ঞা থাকে, মানে না-মানায় না কেউ

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
নিষেধাজ্ঞা থাকে, মানে না-মানায় না কেউ

প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো, ফানুস ওড়ানো একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের নানান বাধা-নিষেধ থাকলেও তা মানছেন না কেউই। এর অন্যতম কারণ, বেশির ভাগ মানুষই জানে না আতশবাজি পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর। আইনশৃঙ্খল বাহিনীকেও কখনো বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।

জানাগেছে, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল ঢাকায় বসবাসরত মানুষের বাসাবাড়ির ছাদও। কিন্তু তাতেও থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপন। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল গত কয়েক বছর ঢাকার আকাশ। একযোগে পটকা, আতশবাজি ফোটানোও থেমে ছিল না। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা মহানগরী। অনেক শিশু ও বয়স্করা সে শব্দে অসুস্থ পর্যন্ত হওয়ার খবর মেলে। ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা রোধে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল চলাচল।

এতসব ঘটনার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ ছিল না। মানুষের সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও শুধু ঘোষণা দিয়ে দায় সারতে পারে না।