খুঁজুন
রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ, ১৪৩১

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোষ্টার সাঁটানো জড়িতদের গ্রেফতারে ছাত্রদলের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোষ্টার সাঁটানো জড়িতদের গ্রেফতারে ছাত্রদলের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান ও সরকারি দপ্তরের সামনে শামীম ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের নামে ছাত্রলীগের পোস্টারিং এর প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেফতারে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া রেলষ্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বেড়িয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পোস্টার সাঁটানোর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাত বলেন, ডিসি,এসপি কে বলতে চাই আপনারা দুষ্কৃতিকারীকে শনাক্ত করতে পারেননি। আমরা তা করেছি তিনি ছাত্রলীগ নেতা অনিক। এ ছাড়া এদের সাথে যারা জড়িতদের এই অনিককে গ্রেফতার করে তার মাধ্যমে শনাক্ত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে আপনাদের অফিস ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন ছাত্রদল নেতা রিফাত।

এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন বলেন,আমরা ছাত্রলীগের কুকর্ম দেখেছি তারা চাঁদাবাজি,সন্ত্রাস সব কিছুর সাথে জড়িত ছিলো। অয়ন ওসমানের কিছু অনুসারী তাকে খুশি করতে এবং পলাতক বোরকা শামীমের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে আমরা আপনাদের অফিস ঘেরাও করবো।

বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাকিব মোহাম্মদ রাইয়ান বলেন,ছাত্রলীগের জন্য এই শহরে ঠিকমতো বসবাস করতে পারিনি,তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য ছাত্ররা ঠিক মতো লেখা পড়া করতে পারেনি। হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,যারা পোস্টার লাগান যদি আমরা দেখতে পাই হাত-পা ভেঙে এই শহর থেকে বিতাড়িত করবো।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই ছাত্রলীগ তারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের জন্য শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারেনি।এই সংগঠন কিভাবে পোষ্টার লাগায়?তাদের কারা নারায়ণগঞ্জে শেল্টার দিচ্ছে এইসব চিন্হিত করুন।

আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ, এনায়েত নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুম্মন আহমেদ ইমন।

বিক্ষোভ ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ বাছির, কদম রসুল ছাত্রদলের নেত্রী কাজী কর্ণিয়া, আহমেদ শ্রাবন্তী,মাশরাফি আলম,মো:রাহাত, হামিম আহমেদ,মুক্তার হোসেনসহ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৩ অপরাহ্ণ
অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়।

আংশিক কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।জাতীয় নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুকে করা হয়েছে ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক।

এছাড়াও মাশুকুল ইসলাম রাজিব ও শরীফ আহমেদ টুটুলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে সদস্য করা হয় এই কমিটিতে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছিল, অতি সত্ত্বর বিলুপ্ত এই কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্তে বিএনপির কেন্দ্র থেকে করা হয় কমিটি।সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গিয়াস-খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

বন্দরে কাজী সোহাগকে গ্রেফতারে আল্টিসমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বন্দরে কাজী সোহাগকে গ্রেফতারে আল্টিসমেটাম

বন্দরে পিস্তুল উচিয়ে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ সহ তার বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।১ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা ১২টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক কল্যান বহুমূখী সমবায় সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।এর মধ্যে আসামীরা গ্রেফতার না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারী দেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক সমবায় বহুমূখী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির বলেন, যে শ্রমিক ভাইয়েরা মানুষকে সেবা প্রদান করে, মানুষের পাশে থাকে তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে। সেই অস্ত্রধারী কাজী সোহাগকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে নয়তো থানা ঘেরাও সহ ডিসি অফিস ঘেরারও করার হুঁশিয়ারী দেন।

সিএনজি শ্রমিক চালকদের উদ্দেশ্য করে হুমায়ন বলেন, যেদিন আপনাদের ওপর গুলি চালিয়েছে সেদিন কিন্তু আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম এবং আপনাদের নিয়ে প্রতিরোধ করেছি। আপনাদের বিপদে যেমন ছিলাম এবং সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো আমরা।

বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক সমবায় বহুমূখী সমিতির সভাপতি পাপ্পু আহমেদ বলেন, অস্ত্রধারী সোহাগ এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে, মামলা হলেও প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করছে না এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই।অস্ত্রধারী সোহাগের জন্য সিএনজি শ্রমিক সহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তিনি যেকান সময়ে আমাদের গুলি করতে পারে।আমরা বন্দরবাসী হুমকির মূখে আছি, সেদিন স্ট্যান্ড দখল নিতে এসে শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে প্রকাশ্যে গুলি করতে করতে বন্দর বাজার পর্যন্ত চলে যায়। সেই সিসি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে অথচ প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করছে না। অস্ত্রধারী সোহাগ সেদিন যেভাবে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছে সেদিন যে কারও মৃত্যু হতে পারতো। তাই অতিদ্রুত অস্ত্রধারী সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানাই।

বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক সমবায় বহুমূখী সমিতির সিনিয়র সহ- সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা, সাংগঠিনক সম্পাদক রিপন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কবির, কার্যকরি সদস্য নুর বাদশা, সাগর, সদস্য ইকবাল, মিন্টু।এছাড়াও সিএনজি চালক আলমগীর, আনোয়ার, নুর হোসেন, নাদিম, নাজির, লিয়াকত, জামান, জনি, শিপন, ছগির, সুমন মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধন শেষে চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ কাজী সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সামনে গিয়ে শেষ করা হয়।

কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১০ অপরাহ্ণ
কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ

কুমিল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটকের পর এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি হেফাজতে যেকোনো ধরনের নির্যাতন ও হত্যার কঠোর নিন্দাও জানিয়েছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, গতরাতে কুমিল্লায় তৌহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার ভোরে তৌহিদুলের বাড়ি থেকে আটক করার পর তাকে নির্যাতন করে।

জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয় সরকারে দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারে কয়েকটি কমিশন গঠন করার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কমিশনগুলোর বেশিরভাগই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পুলিশি জেরা, অপরাধ ব্যবস্থাপনা ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো সম্ভাবনা দূর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, তৌহিদুল ইসলামকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আটক করেছিল বলে পরিবার থেকে দাবি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সদরের পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।