খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৩ পৌষ, ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞা থাকে, মানে না-মানায় না কেউ

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
নিষেধাজ্ঞা থাকে, মানে না-মানায় না কেউ

প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো, ফানুস ওড়ানো একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের নানান বাধা-নিষেধ থাকলেও তা মানছেন না কেউই। এর অন্যতম কারণ, বেশির ভাগ মানুষই জানে না আতশবাজি পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর। আইনশৃঙ্খল বাহিনীকেও কখনো বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।

জানাগেছে, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল ঢাকায় বসবাসরত মানুষের বাসাবাড়ির ছাদও। কিন্তু তাতেও থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপন। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল গত কয়েক বছর ঢাকার আকাশ। একযোগে পটকা, আতশবাজি ফোটানোও থেমে ছিল না। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা মহানগরী। অনেক শিশু ও বয়স্করা সে শব্দে অসুস্থ পর্যন্ত হওয়ার খবর মেলে। ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা রোধে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল চলাচল।

এতসব ঘটনার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ ছিল না। মানুষের সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও শুধু ঘোষণা দিয়ে দায় সারতে পারে না।

চট্রগ্রাম আদালতে মামলার নথি গায়েব

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
চট্রগ্রাম আদালতে মামলার নথি গায়েব

চট্টগ্রাম আদালতে ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির সন্ধান মিলছে না। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালি থানায় জিডিটি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি মফিজুল হক ভূঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। জায়গা স্বল্পতার কারণে কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় বস্তাবন্দি অবস্থায় রাখা হয় নথিগুলো।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হারিয়ে যায় নথিগুলো। অনেক খোঁজের পরও হদিস মিলছে না। হারিয়ে যাওয়া নথির মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান ও বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন মামলার ডকেট রয়েছে।

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক

দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাজনিত সফরকে সামনে রেখে বৈঠকটি হচ্ছে আজ। এতে দলের নীতি কৌশল ও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

খালেদা জিয়াকে সরাসরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হবে। এক্ষেত্রে ভিড় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের। তবে সিনিয়র নেতারা বিমানবন্দরে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা।

খালাস না সা*জা, অপেক্ষায় জাকির খান সমর্থকেরা।

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
খালাস না সা*জা, অপেক্ষায় জাকির খান সমর্থকেরা।

জাকির খানের মুক্তি নিয়ে আবারো দেখা দিয়েছে তার সমর্থক ও অনুসারীদের মাঝে মিশ্রপ্রতিকি্রয়া। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে থাকা তার সমর্থকেরা অপেক্ষায় আছেন আগামী ৭ জানুয়ারির জন্য।মুখিয়ে আছেন আদালতের রায়ের দিকে।কি হচ্ছে আগামীকাল খালাস নাকি সা*জা?

জানা গেছে, ওই দিন সাব্বির হত্যা মামলার রায় দেবে আদালত। জাকির খানের অনুসারীদের ধারণা, এই দিনই পরিষ্কার হবে জাকির খান মুক্তি পাচ্ছে কি পাচ্ছেনা। অনেকের ধারণা সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পেতে যাচ্ছেন জাকির। আবার অনেকের মতে, শাস্তিই লেখা আছে সাবেক এই ছাত্রদল নেতার কপালে।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বরকে ঘিরে আলোচনায় মুখর হয়ে উঠে শহরের মানুষ। ওই দিনও তার মুক্তি হতে পারে বলে গুঞ্জণ উঠে শহরে। তবে ওই দিন তার মুক্তি না হওয়ায় আশাহত হয়েছিলেন সমর্থকেরা। তাই আগামী ৭ জানুয়ারিও একইভাবে জাকির খানের সমর্থকেরা হতাশা নিয়ে আদালত থেকে ফিরে আসবেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে নগরবাসী।

গতকাল এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে জাকির খানের ছোট ভাই জিকু খান বলেন, সাত তারিখে জাকির খানের রায় শুনানি হবে। আমরা সবাই অবশ্যই সেদিন উপস্থিত থাকবো। আমাদের দেশের আইন দীর্ঘদিন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সামনে আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিব না। আমরা জাকির খানের নির্দেশে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবো। ওনি যা বলবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবো।

তথ্য বলছে, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী শহরের মাসদাইর এলাকায় খুন হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। সেই হত্যা মামলার আসামী করা হয় জাকির খানকে। তাই ওই সময়ই দেশত্যাগ করে থাইল্যান্ডে চলে যান তিনি। এরপর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন জাকির খান। তবে গত বছর হঠাৎ রাজধানীর উত্তরা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। বর্তমানে সাব্বির হত্যা মামলায় জেলে আছেন তিনি। সাব্বির হত্যা মামলা ছাড়াও আরো একাধিক মামলা আসামী ছিলেন জাকির খান। কিন্তু সেসব মামলা থেকে আগেই জামিন পেয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জাকির খান কারাগারে কম থাকেন। অসুস্থ্যতার জন্য থাকতে হয় প্রিজন হাসপাতালে। সেখানে প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন তার সাথে দেখা করতে ভীড় করছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই অধিপত্য বিস্তার করে অর্থ আয়ের প্রস্তাব দিতে সেখানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু জাকির খান এই মূহুর্তে সবাইকে এসব বিষয়ে নিরব থাকতে বলছেন। নিজের মুক্তি না হওয়া অবধি ধৈর্য্য ধারন করতে অনুরোধ করছেন সবাইকে। এদিকে তাকে ছাড়া তার লোকজনও সঠিক ভাবে শহরের রাজনীতি বা অন্যান্য জায়গায় নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেনা। তাই ২৬ নভেম্বর জাকির খানের জামিন হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও শেষ পর্যন্ত জামিন না হওয়া হতাশ সবাই।