নিষেধাজ্ঞা থাকে, মানে না-মানায় না কেউ
প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো, ফানুস ওড়ানো একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের নানান বাধা-নিষেধ থাকলেও তা মানছেন না কেউই। এর অন্যতম কারণ, বেশির ভাগ মানুষই জানে না আতশবাজি পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর। আইনশৃঙ্খল বাহিনীকেও কখনো বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।
জানাগেছে, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল ঢাকায় বসবাসরত মানুষের বাসাবাড়ির ছাদও। কিন্তু তাতেও থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপন। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল গত কয়েক বছর ঢাকার আকাশ। একযোগে পটকা, আতশবাজি ফোটানোও থেমে ছিল না। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা মহানগরী। অনেক শিশু ও বয়স্করা সে শব্দে অসুস্থ পর্যন্ত হওয়ার খবর মেলে। ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা রোধে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল চলাচল।
এতসব ঘটনার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ ছিল না। মানুষের সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও শুধু ঘোষণা দিয়ে দায় সারতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন