খুঁজুন
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ, ১৪৩১

বিডিআর বিদ্রোহের ২০০ আসামীর জামিন।

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
বিডিআর বিদ্রোহের ২০০ আসামীর জামিন।

২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় দুই শতাধিক আসামি জামিন পেয়েছেন।রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।

এর আগে, এদিন বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেওয়ার প্রার্থনা করেন। পরে উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ পারভেজ হাসান ও ফারুক আহাম্মদ। আর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন বলেন, কতজন জামিন পেয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ কেউই তা জানে না। তবে আড়াই শতাধিক জামিন পেয়েছেন।

এদিকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর খবর পেয়ে ভোর থেকে বিডিআর জোয়ানদের জামিনের দাবিতে কারাগারের সামনে অবস্থান নেন স্বজনরা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাভোগ করেন এসব আসামি। হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকায় বন্দি ছিলেন অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যরা। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটিয়ে বিচারপ্রার্থীরা কারামুক্ত হওয়ায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন স্বজনরা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহারঃ আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহারঃ আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

এ সময় আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত ২৫ জেলায় আড়াই হাজার এমন মামলা শনাক্ত করা হয়েছে। এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে। এ ধরনের বাকি মামলা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।

এছাড়া, আইন উপদেষ্টা জানান, সাইবার সিকিউরিটি আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে দায়েরকৃত সব মামলা ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, ৫ আগস্টের পরে যেসব হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে, এর একটাও করেনি সরকার। এই মামলাগুলোর বস্তনিষ্ঠতা না থাকলে পুলিশ যেন কাউকে গ্রেফতার না করে সেজন্য সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন, ন্যায় বিচার পাবে ভুক্তভোগীরা।

আড়াইহাজারে নারীসহ ৮ আসামী গ্রেফতার।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
আড়াইহাজারে নারীসহ ৮ আসামী গ্রেফতার।

সোমবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা পুলিশ বিভিন্ন অভিযোগে ৩ মহিলাসহ ৮ আসামীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করেছেন।

এদের মধ্যে সি আর প্রসেস নং- ১৬৪/২৫ এর মূলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শারমিন, সি আর প্রসেস নং- ৪৮৯/২৫ এর গ্রেফতারী পরওয়ানা মূলে হাবিজুননেছা ওরফে হাজিবুন (৫৪), সি আর প্রসেস নং- ১৬৩/২৫ মূলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফকরুজ্জামান তপু (৪৫), আড়াইহাজার থানার মামলা নং- ১২ (৮) ২৪ এর মূলে সন্ধিগ্ধ আসামী মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫) এবং মো. রুস্তম আলী (৪৫) এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় গ্রেফতারকৃত আসামী মাহপুজ (২৪) ও রাকিব (২৪) রয়েছেন।

এদের মধ্যে ১২ (৮) ২৪ নং মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী রুস্তম আলী হাইজাদী ইউনিয়নের খন্দকার কলাগাছিয়া গ্রামের আঃ হাসিমের পুত্র। এ তথ্য নিশ্চিদ করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। বাকী আসামীদের ঠিকানা সহ পূর্ণ পরিচয় দিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে অপরাগতা প্রকাশ করে। তাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা পুলিশ বিভিন্ন অভিযোগে ৩ মহিলাসহ ৮ আসামীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করেছেন।

এদের মধ্যে সি আর প্রসেস নং- ১৬৪/২৫ এর মূলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শারমিন, সি আর প্রসেস নং- ৪৮৯/২৫ এর গ্রেফতারী পরওয়ানা মূলে হাবিজুননেছা ওরফে হাজিবুন (৫৪), সি আর প্রসেস নং- ১৬৩/২৫ মূলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফকরুজ্জামান তপু (৪৫), আড়াইহাজার থানার মামলা নং- ১২ (৮) ২৪ এর মূলে সন্ধিগ্ধ আসামী মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫) এবং মো. রুস্তম আলী (৪৫) এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় গ্রেফতারকৃত আসামী মাহপুজ (২৪) ও রাকিব (২৪) রয়েছেন।

এদের মধ্যে ১২ (৮) ২৪ নং মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী রুস্তম আলী হাইজাদী ইউনিয়নের খন্দকার কলাগাছিয়া গ্রামের আঃ হাসিমের পুত্র। এ তথ্য নিশ্চিদ করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। বাকী আসামীদের ঠিকানা সহ পূর্ণ পরিচয় দিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে অপরাগতা প্রকাশ করে। তাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুরুতেই বিএনপির ভরাডুবি, আওয়ামীলীগের জয়জয়কার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
শুরুতেই বিএনপির ভরাডুবি, আওয়ামীলীগের জয়জয়কার

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।মাত্্র কয়েকটি পদ পেয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

ভোট গণনা শেষে শুক্রবার ভোরে ২০২৫ সালের বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ হাজার ৮৫০ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৬০ জন আইনজীবী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।

নির্বাচনে সভাপতি পদে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ৭৭০ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. জোবায়ের বখ্ত জুবের ৩৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

অন্যপদের মধ্যে সহ-সভাপতি-১ পদে আওয়ামী লীগের জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন), সহ-সভাপতি-২ পদে বিএনপির মো. মখলিছুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক-১ পদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. অহিদুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক-২ পদে বিএনপির অ্যাডভোকেট মো রব নেওয়াজ রানা, একই দলের সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সহ-সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সৈয়দ রাব্বী হাসান তারেক, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের হেনা বেগম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মো. ছয়ফুল আলম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার পদে আব্দুল্লাহ আল হেলাল, মো. কাওছার জুবায়ের, সহ সম্পাদকীয় ৩টি পদে এমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ, সাহেদ আহমদ ও কাওছার আহমদ নির্বাচিত হন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির ১১টি পদে বিজয়ীরা হলেন গিয়াস উদ্দিন, এএসএম আব্দুল গফুর, ফখরুল ইসলাম, জামিলুল হক জামিল, আব্দুল মালিক, কল্যাণ চৌধুরী, আশিক উদ্দিন (আশুক), জুবের আহমদ খান, আবু মো. আসাদ, আলীম উদ্দিন ও ছয়ফুল হোসেন।

সাধারণ আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তাদের প্রার্থীরা কাঙ্ক্ষিত পদ-পদবি পাননি। সেই সুযোগ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা কাজে লাগিয়েছেন।