খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৩ পৌষ, ১৪৩১

বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১১ বছর পর সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:১৫ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১১ বছর পর সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে মামলা

নীলফামারীর লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে হত্যার অভিযোগে প্রায় ১১ বছর পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ আওয়ামী লীগের ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী শাহানাজ বেগম। আদালত মামলা গ্রহণ করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও এক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলার ঘটে। সে ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়৷ পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ১৮ জানুয়ারি জানতে পারে নীলফামারীর আরাজী ইটাখোলা এলাকায় নীলফামারী- ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে রব্বানীর মরদেহ পড়ে আছে। তা জানতে পেরে পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

মামলার বাদী শাহানাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আমার স্বামী গোলাম রব্বানীকে আসামি করে থানায় মামলা করে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়িতে স্বামীকে খুঁজতে আসে, না পেয়ে আমার বাড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি আসামিরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার স্বামী প্রাণের ভয়ে আমার পঞ্চগড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপন করে। এরপর গত ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে নীলফামারী থানা পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে আমার স্বামীকে তুলে যায়। আমি বিভিন্ন স্থানে আমার স্বামী খোঁজ করার এক পর্যায়ে নীলফামারী-ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে আমার স্বামীর মরদেহ পাই। স্বামীকে হারিয়ে আমি আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে। আমি ছোট-ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ৬ থেকে ৭ মাস আত্মগোপনে থেকেছি। আমি আমার স্বামীর নির্মম হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে আজকে নির্দেশনা পেয়েছি। সেটি আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এছাড়াও গেল ৪ আগস্ট নীলফামারী জেলা বিএনপি ও সেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মামলায় আসাদুজ্জামান নূরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী সৌমিক হাসান সোহান মামলায় আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্য গুলির নির্দেশদাতা হিসেবে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এদিকে গতকাল রোববার রাত ১১টায় আসাদুজ্জামান নূরকে রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ (সোমবার) তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা সিয়াম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শরিফুল ইসলাম/এমএ

চট্রগ্রাম আদালতে মামলার নথি গায়েব

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
চট্রগ্রাম আদালতে মামলার নথি গায়েব

চট্টগ্রাম আদালতে ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির সন্ধান মিলছে না। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালি থানায় জিডিটি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি মফিজুল হক ভূঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। জায়গা স্বল্পতার কারণে কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় বস্তাবন্দি অবস্থায় রাখা হয় নথিগুলো।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হারিয়ে যায় নথিগুলো। অনেক খোঁজের পরও হদিস মিলছে না। হারিয়ে যাওয়া নথির মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান ও বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন মামলার ডকেট রয়েছে।

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক

দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাজনিত সফরকে সামনে রেখে বৈঠকটি হচ্ছে আজ। এতে দলের নীতি কৌশল ও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

খালেদা জিয়াকে সরাসরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হবে। এক্ষেত্রে ভিড় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের। তবে সিনিয়র নেতারা বিমানবন্দরে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা।

খালাস না সা*জা, অপেক্ষায় জাকির খান সমর্থকেরা।

দেশবাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
খালাস না সা*জা, অপেক্ষায় জাকির খান সমর্থকেরা।

জাকির খানের মুক্তি নিয়ে আবারো দেখা দিয়েছে তার সমর্থক ও অনুসারীদের মাঝে মিশ্রপ্রতিকি্রয়া। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে থাকা তার সমর্থকেরা অপেক্ষায় আছেন আগামী ৭ জানুয়ারির জন্য।মুখিয়ে আছেন আদালতের রায়ের দিকে।কি হচ্ছে আগামীকাল খালাস নাকি সা*জা?

জানা গেছে, ওই দিন সাব্বির হত্যা মামলার রায় দেবে আদালত। জাকির খানের অনুসারীদের ধারণা, এই দিনই পরিষ্কার হবে জাকির খান মুক্তি পাচ্ছে কি পাচ্ছেনা। অনেকের ধারণা সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পেতে যাচ্ছেন জাকির। আবার অনেকের মতে, শাস্তিই লেখা আছে সাবেক এই ছাত্রদল নেতার কপালে।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বরকে ঘিরে আলোচনায় মুখর হয়ে উঠে শহরের মানুষ। ওই দিনও তার মুক্তি হতে পারে বলে গুঞ্জণ উঠে শহরে। তবে ওই দিন তার মুক্তি না হওয়ায় আশাহত হয়েছিলেন সমর্থকেরা। তাই আগামী ৭ জানুয়ারিও একইভাবে জাকির খানের সমর্থকেরা হতাশা নিয়ে আদালত থেকে ফিরে আসবেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে নগরবাসী।

গতকাল এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে জাকির খানের ছোট ভাই জিকু খান বলেন, সাত তারিখে জাকির খানের রায় শুনানি হবে। আমরা সবাই অবশ্যই সেদিন উপস্থিত থাকবো। আমাদের দেশের আইন দীর্ঘদিন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সামনে আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিব না। আমরা জাকির খানের নির্দেশে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবো। ওনি যা বলবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবো।

তথ্য বলছে, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী শহরের মাসদাইর এলাকায় খুন হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। সেই হত্যা মামলার আসামী করা হয় জাকির খানকে। তাই ওই সময়ই দেশত্যাগ করে থাইল্যান্ডে চলে যান তিনি। এরপর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন জাকির খান। তবে গত বছর হঠাৎ রাজধানীর উত্তরা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। বর্তমানে সাব্বির হত্যা মামলায় জেলে আছেন তিনি। সাব্বির হত্যা মামলা ছাড়াও আরো একাধিক মামলা আসামী ছিলেন জাকির খান। কিন্তু সেসব মামলা থেকে আগেই জামিন পেয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জাকির খান কারাগারে কম থাকেন। অসুস্থ্যতার জন্য থাকতে হয় প্রিজন হাসপাতালে। সেখানে প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন তার সাথে দেখা করতে ভীড় করছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই অধিপত্য বিস্তার করে অর্থ আয়ের প্রস্তাব দিতে সেখানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু জাকির খান এই মূহুর্তে সবাইকে এসব বিষয়ে নিরব থাকতে বলছেন। নিজের মুক্তি না হওয়া অবধি ধৈর্য্য ধারন করতে অনুরোধ করছেন সবাইকে। এদিকে তাকে ছাড়া তার লোকজনও সঠিক ভাবে শহরের রাজনীতি বা অন্যান্য জায়গায় নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেনা। তাই ২৬ নভেম্বর জাকির খানের জামিন হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও শেষ পর্যন্ত জামিন না হওয়া হতাশ সবাই।