খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২১ মাঘ, ১৪৩১

বন্দরে বহিষ্কৃতরা চাচার পাশেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
বন্দরে বহিষ্কৃতরা চাচার পাশেই

বন্দর প্রতিনিধিঃ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। সাথে তার একান্ত অনুনারী নাসিক সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, হান্নান সরকার, গোলাম নবী মুরাদও বহিস্কৃত হন সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নির্বচনী জনসভার মঞ্চে উঠে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছর এরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে বহাল তবিয়তেই ছিলেন। বিএনপি থেকে বহিস্কার হয়ে মিডিয়াতে বলেছিলেন আলহামদুলিল্লা। তবে ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পরেন বেকায়দায়। দলে ফিরতে বিএনপির বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হাজির হতে দেখা গেছে বহিষ্কৃতদের। সুলতানকে দেখা গেছে বিএনপির বিতর্কিত নেতা জাকির খান মুক্তি পরিষদের মিছিলেও। তবে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে দলে ফেরার চেষ্টায় আছেন আতাউর রহমান মুকুল। ধরনা দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুয়ারে। কানাঘুসা আছে দলে ফিরতে একাধিকবার বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ এক নেতার সাথে। তবে এ বৈঠক শহরের এক অভিজাত ক্লাবে গোপনীয়তার মধ্যে হয়েছে। এর মাঝে ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে বিশাল বিজয় মিছিল করেন আবুল কাউছার আশা আর বন্দরে পৃথক বিজয় মিছিল করেন চাচা আতাউর রহমান মুকুল। তাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চাচা মুকুল ও ভাতিচা আশার মধ্যে।

বিগত দিনে আবুল কাউসার আশা ও আতাউর রহমান মুকুল একজোট হয়েই রাজনীতি করেছে। তাদের মধ্যে বেশ ভালো রসায়ন থাকলেও এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য। কেউ কারো সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিলে আগে নেতাকর্মীরা বিব্রতকর অবস্থায় পরে। মুকুলের ঘনিষ্ঠ বহিষ্কৃত সুলতান ও হান্নানকে দেখা যায় আশার প্রস্তুতি সভায়। ধারনা করা হয়েছিল বিজয় মিছিলে তারা আশার পাশেই থাকছেন। চাচা মুকুলের প্রোগ্রাম ফ্লপ হবে এবং তার রাজনীতির জবনিকা টানা হবে ১৬ই ডিসেম্বর। কিন্তু সকল ধারনাকে ভুর প্রমান করে মুকুল বন্দরে বিশাল বিজয় মিছিল করে তাক লাগিয়ে দেন এবং এই র‌্যালীতে পাশেই ছিলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার সহ তাদের অনুসারীরা। মুকুলের অনুসারী এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় অনেকে মন্তব্য করেন মুকুল বন্দরের রাজনীতির রাজা। অতীতে তার হাতেই বন্দরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও নয়টি ওয়ার্ডের সকল ইউনিট কমিটি গঠন হয়। মুকুলের হতে গড়া সংগঠন পাশে থেকে মুকুলের মান রেখেছে।

আড়াইহাজারে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
আড়াইহাজারে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্ততা করার লক্ষ্যে এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের পূর্ণবাসন,যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাস নৈরাজ্য কার্যকলাপ বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।

আজ মঙ্গলবার(৪ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আড়াই হাজার চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে আড়াই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয়, একটা একটা লীগ ধর, ‘ধইরা ধইরা জেলে ভর’ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের চামড়া তুলে নিব আমরা।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আবদু,আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম লাভলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ভূঁইয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক,আড়াই হাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কবির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, আড়াইহাজার থানা যুবদলের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূঁইয়া,পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ডালিম, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান, আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোবারক হোসেন প্রমুখ।

অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৩ অপরাহ্ণ
অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়।

আংশিক কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।জাতীয় নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুকে করা হয়েছে ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক।

এছাড়াও মাশুকুল ইসলাম রাজিব ও শরীফ আহমেদ টুটুলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে সদস্য করা হয় এই কমিটিতে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছিল, অতি সত্ত্বর বিলুপ্ত এই কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্তে বিএনপির কেন্দ্র থেকে করা হয় কমিটি।সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গিয়াস-খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

বন্দরে কাজী সোহাগকে গ্রেফতারে আল্টিসমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বন্দরে কাজী সোহাগকে গ্রেফতারে আল্টিসমেটাম

বন্দরে পিস্তুল উচিয়ে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ সহ তার বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।১ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা ১২টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক কল্যান বহুমূখী সমবায় সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।এর মধ্যে আসামীরা গ্রেফতার না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারী দেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক সমবায় বহুমূখী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির বলেন, যে শ্রমিক ভাইয়েরা মানুষকে সেবা প্রদান করে, মানুষের পাশে থাকে তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে। সেই অস্ত্রধারী কাজী সোহাগকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে নয়তো থানা ঘেরাও সহ ডিসি অফিস ঘেরারও করার হুঁশিয়ারী দেন।

সিএনজি শ্রমিক চালকদের উদ্দেশ্য করে হুমায়ন বলেন, যেদিন আপনাদের ওপর গুলি চালিয়েছে সেদিন কিন্তু আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম এবং আপনাদের নিয়ে প্রতিরোধ করেছি। আপনাদের বিপদে যেমন ছিলাম এবং সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো আমরা।

বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক সমবায় বহুমূখী সমিতির সভাপতি পাপ্পু আহমেদ বলেন, অস্ত্রধারী সোহাগ এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে, মামলা হলেও প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করছে না এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই।অস্ত্রধারী সোহাগের জন্য সিএনজি শ্রমিক সহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তিনি যেকান সময়ে আমাদের গুলি করতে পারে।আমরা বন্দরবাসী হুমকির মূখে আছি, সেদিন স্ট্যান্ড দখল নিতে এসে শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে প্রকাশ্যে গুলি করতে করতে বন্দর বাজার পর্যন্ত চলে যায়। সেই সিসি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে অথচ প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করছে না। অস্ত্রধারী সোহাগ সেদিন যেভাবে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছে সেদিন যে কারও মৃত্যু হতে পারতো। তাই অতিদ্রুত অস্ত্রধারী সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানাই।

বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক সমবায় বহুমূখী সমিতির সিনিয়র সহ- সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা, সাংগঠিনক সম্পাদক রিপন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কবির, কার্যকরি সদস্য নুর বাদশা, সাগর, সদস্য ইকবাল, মিন্টু।এছাড়াও সিএনজি চালক আলমগীর, আনোয়ার, নুর হোসেন, নাদিম, নাজির, লিয়াকত, জামান, জনি, শিপন, ছগির, সুমন মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধন শেষে চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ কাজী সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সামনে গিয়ে শেষ করা হয়।