খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ঢাবিতে ‘মাওলিদ মিছিল’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:০৯ পূর্বাহ্ণ
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ঢাবিতে ‘মাওলিদ মিছিল’

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ঢাবিতে ‘মাওলিদ মিছিল’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জুলাই-আগস্ট ভিত্তিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে শতকণ্ঠে রাসুল সাল্লাল্লাহু সাল্লামের আগমনী দিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ‘মাওলিদ মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাবির টিএসসি হতে মিছিল শুরু হয়ে কলা ভবনের গেট দিয়ে ঢুকে হল পাড়া, অন্যান্য হল ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ ঘুরে এসে আবার রাজু ভাস্কর্যে শেষ হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মাসউদুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের এটি একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে আমরা এসব আয়োজন করতে পারতাম না। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন আমাদেরকে নানাভাবে বিভিন্ন রকম ট্যাগ দিয়ে দমিয়ে রাখত। যার ফলে আমরা এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে এটি আয়োজন করতে পেরে ব্যাপক আনন্দিত।

উল্লেখ্য, এর আগে ইনকিলাব মঞ্চ তাদের দ্রোহের গান, গণসিজদা, প্রতীকী বাঁধ ভাঙ্গা, ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়।

প্রতিনিধি/এমএইচটি

তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ফেরদৌস ও এ এস আই আলামিন এর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ফেরদৌস ও এ এস আই আলামিন এর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিয়োগ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ও এ এস আই মোঃ আলামিন এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মাসুম।গত (২ই ফেব্রুয়ারি)রোজ বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জনাব, যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মাসুম (৩০), পিতা- আলী, মাতা- মোসাঃ বেবী বেগম, সাং- ব্রাহ্মন বাওগাঁ, ডাকঘর- মহজমপুর- ১৪৪০, থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জ আপনার কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া বিবাদী ১) মোঃ ফেরদৌস, তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ, ২) মোঃ আলামিন, তালতলা পুলিশ ফাড়ীর এ.এস.আই-দের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি এবং জামপুর ইউনিয়নের যুবদলের ইউনিয়ন সেক্রেটারী পদপ্রার্থী। গত ১৭/০২/২০২৫ ইং তারিখে একটি ব্যাটারী চুরিকে কেন্দ্র করে তালতলা পুলিশ ফাঁড়ীর এ.এস.আই আলামিন রাত্র আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ১ জনকে হাতেনাতে বাটারী সহ ধৃত করেন এবং তাহার সঙ্গীয় আরও ২ জনকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করিয়া ফাঁড়িতে নিলে, আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে অবগত হইয়া থানায় উপরোক্ত বিষয়ে উক্ত বিবাদীদ্বয়কে শুধু জিজ্ঞাসা করেছি যে, মামলার আসামী কয়জন তখন বিবাদীদ্বয় বলে যে, আসামী ৩ জন।

পরবর্তীতে আমি আসামীর লিষ্ট গুলো দেখিয়া বলি যে, আপনারা শুধু ২ জন আসামী রেখেছেন আরেক জন আসামী কোথায়? তখন উক্ত ১নং বিবাদী আমার কথায় কোন প্রকার জবাব প্রদান না করিয়া আমাকে হুমকি ধমকি প্রদান করে। তখন আমি খোঁজ নিয়া জানিতে পারি যে, উক্ত ১ ও ২ বা পরস্পর যোগসাজসে আওয়ামী দালাল চক্রের লোকদের নিকট হইতে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা গ্রহণ করে উক্ত ব্যাটারী চুরির মূল আসামীকে ছেড়ে দেয়। তখন আমি এই বিষয়ে বিবাদীদেরকে বলি যে, আপনারা উক্ত ব্যাটারী চুরির মূল আসামীকে কেন ছেড়ে দিলেন? তখন এই কথা বলার পর উক্ত বিবাদীদ্বয় আমাকে উপস্থিত সকলের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া হুমকি দেয় যে, আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াইবে।

তখন আমি উক্ত ফাঁড়ি ত্যাগ করে চলে আসি। পরবর্তীতে উক্ত ব্যাটারী চুরির ঘটনায় ২ জন আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করিলে, অত্র ব্যাটারী চুরির অভিযোগকারী/বাদী কোর্টে এসে দেখিতে পায় যে, ৩নং আসামী আমাকে করা হইয়াছে। তখন বাদী/অভিযোগকারী আমার সাথে যোগাযোগ করিয়া আমাকে উক্ত বিষয়ে অবগত করান এবং বলে যে, তাহার স্বাক্ষর এজাহার দায়েরের পূর্বে সাদা কাগজে নিয়েছে এবং স্বাক্ষর না দিলে ব্যাটারী ফেরৎ দিবে না বলিয়া উক্ত অভিযোগকারী/বাদীকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করেন এবং উক্ত এজাহারে উক্ত বিবাদীয় সুকৌশলে অভিযোগকারী/বাদীর অজ্ঞাতসারে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়া দিয়াছে। মূলত উক্ত ব্যাটারী চুরির অভিযোগকারী/বাদী আমাকে চিনেন না এবং সে আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ দায়ের করেন নাই। যাহা অভিযোগকারী/বাদীর অডিও রেকর্ডীং রহিয়াছে এবং প্রয়োজনে সে সাক্ষাতেও যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন তাহা করিতে ইচ্ছুক রহিয়াছে এবং অত্র বিবাদীদ্বয় প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন মহোদয় যেন, আমার উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে উক্ত বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া আমাকে সোনারগাঁও থানার মামলা – ২২ (২) ২০২৫ মামলা হইতে অব্যাহতি/খালাস প্রদানের আদেশ দিলে, মহোদয়ের নিকট চির কৃতজ্ঞ ।

আড়াইহাজারে লাক মিয়া চেয়ারম্যান গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
আড়াইহাজারে লাক মিয়া চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়াকে( ৫৫) গ্রেফতার করেছো পুলিশ। দুপুর ২টার দিকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তিনি আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটিরি সদস্য ও একজন শিল্পপতি।

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল মেহেদী হাসান জানান, গোপনে খবর আসে লাক মিয়া চেয়ারম্যান ওই রাস্তা দিয়ে তার বাড়ী আড়াইহাজার থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ওই সংবাদের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, তিনি একজন শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী । টাকা দিয়ে তিনি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করারও অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকার নীরহ মানুষের জমি দখল করার অসংখ্যা অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিরীহ মানুষ তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন। গ্রেফতারকৃত লাক মিয়া উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোপিন্দী গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, সার্কেল স্যার তাকে আটক করার পর আমরা পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আড়াইহাজার থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওসমান পরিবারে সেই দেলোয়ার গ্রেফতার

বন্দর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ
বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওসমান পরিবারে সেই দেলোয়ার গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের একাধিক বারের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান পরিবারের অন্যতম সহচর সেই দেলোয়ার হোসেন প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সশস্ত্র হামলা ও হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে বন্দর ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে সে বিষয়ে কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায়ও তার নামে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
দেলোয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টিরও সহ-সভাপতি। তিনি ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।