আলোচনায় একাধিক, আস্থায় এক!
দেশবাণীঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্তর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। আসন্ন নতুন কমিটিকে ঘিরে ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে কাজ করছে নানা উৎসাহ উদ্দীপনা। গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে এরমধ্যে অনেকেই কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের কাছে করছেন লবিং, তদবির ও দৌড়ঝাঁপ । তবে পদ প্রত্যাশীদের ভাষ্য, যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের হাতেই ছাত্রদলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে। সংগঠনটির একাধিক পদ প্রত্যাশীর সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা যায়।
তবে সভাপতি পদে পদ প্রত্যাশীর তালিকা সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ সাবেক ছাত্রদল নেতা সভাপতি হতে চান। গুটি কয়েকজন নেতা সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের মতে, সভাপতি পদে একজনকে বাছাই করলেও প্রার্থী হতে কোনো দোষ নেই।
জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করেন। পাশাপাশি অধীনস্থ সকল উপজেলা-থানা, পৌর, কলেজ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রদলের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শীঘ্রই উক্ত ইউনিটগুলোর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে কমিটি বিলুপ্তের পর তৎপরতা শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশীরা। সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত ৮ জনের নাম শোনা গেছে। তবে এ পদে একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও বেশ আলোচনায় আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু।
তার কারণও আছে বেশ। কারণ হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন,আওয়ামী লীগের সময় তিনি ছাত্রলীগ দ্বারা অনেক নির্যাতনের শিকার হোন। একবার প্রাণহানীর ঘটনা ঘটার উপক্রম হয়েছিল। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজপথে শিক্ষার্থীদের পাশে নেতাকর্মীদের নিয়ে থেকে দলের ভিতর ও বাহিরে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ছিলেন।শিক্ষার্থীদের সাথে এক কাতারে মাঠে থেকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে তিনি অবস্থান নেন নেতাকর্মী নিয়ে সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোডের মত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ গুলিতে।১৮ জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত সাইনবোর্ড ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেন তিনি ও তার নেতৃত্বের নেতাকর্মীরা।
গত ৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নানা হুমকি ধামকি দিতে থাকলে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিক থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রবেশ করেন তিনি।এসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি তাদের জন্য খাবার ও পানির ব্যবস্থা করেন তিনি।
সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচীতেও জিকুর ও তার নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভাবে অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে।এসময় সকাল থেকে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেন জিকু ও তার সমর্থকরা। যার ফলে তৃণমূলের দাবি উঠেছে রাজপথের পোড়খাওয়া, একাধিকবার কারা নির্যাতিত, হরতালের অগ্রভাগের প্রতিক, ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ এর রুপকার ,কর্মীবান্ধব জিকুই যেন হয় আগামীর নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি।তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল পাবে যোগ্য নেতৃত্ব ও সংগঠন হবে সুসংগঠিত ও প্রসারিত।এমনটাই দাবি করছেন তৃণমূল ।
আপনার মতামত লিখুন