খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

আলোচনায় একাধিক, আস্থায় এক!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:০১ অপরাহ্ণ
আলোচনায় একাধিক, আস্থায় এক!

দেশবাণীঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্তর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। আসন্ন নতুন কমিটিকে ঘিরে ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে কাজ করছে নানা উৎসাহ উদ্দীপনা। গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে এরমধ্যে অনেকেই কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের কাছে করছেন লবিং, তদবির ও দৌড়ঝাঁপ । তবে পদ প্রত্যাশীদের ভাষ্য, যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের হাতেই ছাত্রদলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে। সংগঠনটির একাধিক পদ প্রত্যাশীর সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা যায়।

তবে সভাপতি পদে পদ প্রত্যাশীর তালিকা সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ সাবেক ছাত্রদল নেতা সভাপতি হতে চান। গুটি কয়েকজন নেতা সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের মতে, সভাপতি পদে একজনকে বাছাই করলেও প্রার্থী হতে কোনো দোষ নেই।

জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করেন। পাশাপাশি অধীনস্থ সকল উপজেলা-থানা, পৌর, কলেজ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রদলের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শীঘ্রই উক্ত ইউনিটগুলোর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে কমিটি বিলুপ্তের পর তৎপরতা শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশীরা। সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত ৮ জনের নাম শোনা গেছে। তবে এ পদে একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও বেশ আলোচনায় আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু।

তার কারণও আছে বেশ। কারণ হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন,আওয়ামী লীগের সময় তিনি ছাত্রলীগ দ্বারা অনেক নির্যাতনের শিকার হোন। একবার প্রাণহানীর ঘটনা ঘটার উপক্রম হয়েছিল। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজপথে শিক্ষার্থীদের পাশে নেতাকর্মীদের নিয়ে থেকে দলের ভিতর ও বাহিরে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ছিলেন।শিক্ষার্থীদের সাথে এক কাতারে মাঠে থেকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে তিনি অবস্থান নেন নেতাকর্মী নিয়ে সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোডের মত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ গুলিতে।১৮ জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত সাইনবোর্ড ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেন তিনি ও তার নেতৃত্বের নেতাকর্মীরা।

গত ৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নানা হুমকি ধামকি দিতে থাকলে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিক থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রবেশ করেন তিনি।এসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি তাদের জন্য খাবার ও পানির ব্যবস্থা করেন তিনি।

সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচীতেও জিকুর ও তার নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভাবে অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে।এসময় সকাল থেকে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেন জিকু ও তার সমর্থকরা। যার ফলে তৃণমূলের দাবি উঠেছে রাজপথের পোড়খাওয়া, একাধিকবার কারা নির্যাতিত, হরতালের অগ্রভাগের প্রতিক, ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ এর রুপকার ,কর্মীবান্ধব জিকুই যেন হয় আগামীর নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি।তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল পাবে যোগ্য নেতৃত্ব ও সংগঠন হবে সুসংগঠিত ও প্রসারিত।এমনটাই দাবি করছেন তৃণমূল ।

বন্দরে বহিষ্কৃতরা চাচার পাশেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
বন্দরে বহিষ্কৃতরা চাচার পাশেই

বন্দর প্রতিনিধিঃ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। সাথে তার একান্ত অনুনারী নাসিক সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, হান্নান সরকার, গোলাম নবী মুরাদও বহিস্কৃত হন সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নির্বচনী জনসভার মঞ্চে উঠে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছর এরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে বহাল তবিয়তেই ছিলেন। বিএনপি থেকে বহিস্কার হয়ে মিডিয়াতে বলেছিলেন আলহামদুলিল্লা। তবে ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পরেন বেকায়দায়। দলে ফিরতে বিএনপির বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হাজির হতে দেখা গেছে বহিষ্কৃতদের। সুলতানকে দেখা গেছে বিএনপির বিতর্কিত নেতা জাকির খান মুক্তি পরিষদের মিছিলেও। তবে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে দলে ফেরার চেষ্টায় আছেন আতাউর রহমান মুকুল। ধরনা দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুয়ারে। কানাঘুসা আছে দলে ফিরতে একাধিকবার বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ এক নেতার সাথে। তবে এ বৈঠক শহরের এক অভিজাত ক্লাবে গোপনীয়তার মধ্যে হয়েছে। এর মাঝে ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে বিশাল বিজয় মিছিল করেন আবুল কাউছার আশা আর বন্দরে পৃথক বিজয় মিছিল করেন চাচা আতাউর রহমান মুকুল। তাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চাচা মুকুল ও ভাতিচা আশার মধ্যে।

বিগত দিনে আবুল কাউসার আশা ও আতাউর রহমান মুকুল একজোট হয়েই রাজনীতি করেছে। তাদের মধ্যে বেশ ভালো রসায়ন থাকলেও এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য। কেউ কারো সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিলে আগে নেতাকর্মীরা বিব্রতকর অবস্থায় পরে। মুকুলের ঘনিষ্ঠ বহিষ্কৃত সুলতান ও হান্নানকে দেখা যায় আশার প্রস্তুতি সভায়। ধারনা করা হয়েছিল বিজয় মিছিলে তারা আশার পাশেই থাকছেন। চাচা মুকুলের প্রোগ্রাম ফ্লপ হবে এবং তার রাজনীতির জবনিকা টানা হবে ১৬ই ডিসেম্বর। কিন্তু সকল ধারনাকে ভুর প্রমান করে মুকুল বন্দরে বিশাল বিজয় মিছিল করে তাক লাগিয়ে দেন এবং এই র‌্যালীতে পাশেই ছিলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার সহ তাদের অনুসারীরা। মুকুলের অনুসারী এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় অনেকে মন্তব্য করেন মুকুল বন্দরের রাজনীতির রাজা। অতীতে তার হাতেই বন্দরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও নয়টি ওয়ার্ডের সকল ইউনিট কমিটি গঠন হয়। মুকুলের হতে গড়া সংগঠন পাশে থেকে মুকুলের মান রেখেছে।

বিএনপির বহিস্কৃত সুলতান এবার মুক্তি পরিষদে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:০০ অপরাহ্ণ
বিএনপির বহিস্কৃত সুলতান এবার মুক্তি পরিষদে

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বহিস্কৃত অবস্থায় থাকার পর এবার সুবিধা অনুযায়ী জাকির খানের মুক্তি পরিষদে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে বিএনপির সুবিধাজনক অবস্থান দেখে যে কোনো উপায়েই হোক বিএনপিতে ঠাঁই নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই সুলতান আহমেদ। সেই সাথে সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনে বিএনপির ভোটারদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এখন থেকই চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুলতান আহমেদের রাজনীতি জীবন শুরু হয় জাতীয় পার্টির মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের হাত ধরে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতি শুরু করেন। সেই সাথে জাতীয় পার্টি থেকে ২২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এদিকে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল সুলতান আহমেদের শ্বশুড় বাড়ির দিকে আত্মীয় হন। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সেই আত্মীয়তার সূত্র ধরে বিএনপিতে যোগ দেন। আতাউর রহমান মুকুলের একছত্র আধিপত্যের বলে তিনি বিএনপিতে পদায়ন হয়ে যান। সেই সাথে বিএনপির ভোটারদের সমর্থনের তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে তিনি জাতীয় পার্টির মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। তাই বিএনপির ক্ষমতা হারানোর পর তিনি আবারও ওসমান পরিবারের আশ্রয়ে আসেন। একই সাথে তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে সকল নির্বাচনে কাজ করেন। পাশপাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওসমান পরিবারের সদস্যদের পক্ষে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদেরকেও বের করে দিয়েছেন।

সবশষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে প্রচারণা করতে গিয়ে বিএনপিতে থেকে বহিস্কৃত হন। অনেকদিন এই বহিস্কৃত অবস্থায় থাকার পর এবার আবারও সুলতান আহমেদ বিএনপিতে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন। সে লক্ষ্যে তিনি জাকির খানের মুক্তি পরিষদে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। একই সাথে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

এই সমাবেশে অন্যান্য অতিথিদের সাথে বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক সুলতান আহমেদ উপস্থিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সেলিম ওসমানের পক্ষে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। তাদের সাথে আরও দুইজন বিএনপি নেতা উপস্থিত হয়েছিলেন।

তাদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, এদেরকে আমি ভালোবাসি ওরা আমাকে ভালোবাসে। আমরা আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি করি ওরা আমাদের ভাই। আমি বারবার বলেছি আমার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের পুলিশ যেন তাদের ডিস্টার্ব না করে। ওরা আমাদের সাথে থাকবে। ওরা আমাদের সাথেই ৭ তারিখে ভোট দেয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করবে। বন্দরের বিএনপিরা আমাকে বলেছে আমরা কোনো রকমের ডিস্টার্ব করবো না। আমাদের ১৪ গোষ্ঠী নিয়ে সময়মতো আপনাকে ভোট দিতে যাবো।

সেলিম ওসমানের এই বক্তব্যের পরই সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সুলতান আহমেদ সহ বিএনপির ৬ জন নেতা বহিস্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্কলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিস্কারের কথা বলা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।

এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক দল জাতীয় পার্টি ব্যাকফুটে চলে যায়। সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আত্মগোপনে চলে যান। সেই সাথে আওয়ামী লীগের ব্যাকফুটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসে বিএনপি।

বিএনপির এই সুবিধাজনক অবস্থান দেখে আবারও বিএনপিতে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন সুলতান আহমেদ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বর্তমান বিএনপিতে আলোচনায় থাকা জাকির খানের পক্ষ নিয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়তই জাকির খানের মুক্তির দাবীতে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। জাকির খানের মুক্তির দাবীতে তিনি সরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সেই সাথে ভবিষ্যতের জন্য বিএনপিতে তার অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা করছেন।

সূত্রঃ সময়ের নারায়ণগঞ্জ

আরও একটি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
আরও একটি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

আরও একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব মাহমুদ হাসানসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৬০ নেতাকর্মী। ১০ বছর আগে গাজীপুরে বিস্ফোরক আইনে এ মামলা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রেহেনা আক্তার এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও নাশকতার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জয়দেবপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আবুল হাসেম মামলাটি করেন। এজাহারে নাম না থাকলেও অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশে জয়দেবপুর থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকার কুলিয়ারচর গার্মেন্টসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সহিদউজ্জামান বলেন, এজাহারে তারেক রহমানের নাম ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের পরামর্শে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে এ মামলার চার্জশিটে তারেক রহমানের দাম দেওয়া হয়েছিল।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ১৬ বছর আগে করা কর ফাঁকির মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।