“হতাশ”
গুলশানের ডাক পাননি বাবুল
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কাজ করছে বিএনপি। এরই মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের আসনভিত্তিক প্রার্থীদের গুলশান দলীয় কার্যালয়ে ডেকে মতবিনিময় করা হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর সোমবার ঢাকা বিভাগ, নারায়ণগঞ্জ সহ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৫ই আগস্ট পট পরিবর্তনের পর নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের এবং দলের পক্ষে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। সদ্য দলে ঘটা করে যোগ দেওয়া সফল ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভোটার ও নেতাকর্মীদের মাঝেও সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে ইতোমধ্যে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বড়ো অংশ তার সাথে যুক্ত। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক, কৃষক দল সহ তৃণমূলের বড়ো একটি অংশের সমর্থন মাসুদের পক্ষে। তাছাড়া মাঠে আছেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল-ইসুফ খান টিপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি তিনবারের কাউন্সিলার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং ব্যবসায়ী আবু জাফর বাবুল। সোমবার অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবুল নিমন্ত্রণ পাননি গুলশানের সভার। সন্ধ্যার মধ্যেই এ খবর ছড়িয়ে যায় শহরের বিভিন্ন বলয়ের নেতাকর্মীদের মাঝে। যদিও মূলধারার নেতাকর্মী কাউকে দেখা যায়নি বাবুলের পাশে। তার সাথে বিএনপির কিছু সমর্থক থাকলেও এ সংবাদ প্রকাশের পর থেকে হতাশা তৈরি হয় বাবুলের শিবিরে। বাবুল সমর্থকদের মাঝে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে কেন্দ্রের সু নজরে নেই বাবুলের দিকে। বাবুলের পরিবারের এক ঘনিষ্ঠজন বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ থাকায় মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন বাবুল। তার ছোট ভাইরা স্বতঃস্ফূর্ত মাঠে নেমে পড়েন মনোনয়ন দৌড়ে। তবে গুলশানে ডাক না পাওয়ার এটাই স্পষ্ট যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও মনোনয়ন বিষয়ে এই সম্পর্ক বেশি দূর কাজে আসবে না। তারেক রহমানের বিগত দিনের বক্তব্যে এটাই স্পষ্ট যে মনোনয়নের বিষয়ে ভোটার টানতে পারা ক্লিন ইমেজের প্রার্থী প্রাধান্য পাবে।

আপনার মতামত লিখুন