পরিচ্ছন্ন গণমুখী ইমেজেই মাসুদের আস্থা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদের পথচলা শুরুতে সহজ ছিল না। শুরুতে তাকে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা বিদ্রুপ কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। আর তার এই পথচলায় সঙ্গী ছিলেন কয়েকজন পরিচ্ছন্ন ও গণমুখী বিএনপি নেতা। যাদের পরিকল্পনা দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ মাসুদুজ্জামান মাসুদকে দিনদিন জনপ্রিয়তার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
সেইসাথে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে মাসুদুজ্জামান মাসুদ তার অবস্থান পোক্ত করে নেন। একই সাথে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ঝান্ডাবাহী ক্লিনম্যান নেতায় পরিণত হয়েছেন। বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। মহানগর যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এখন তার পাশে।
মাসুদজ্জামান মাসুদের কণ্টকাকীর্ণ পথ চলা শুরুর সঙ্গী হওয়া পরিচ্ছন্ন নেতারা হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর বিএনপির সদস্য সাবেক যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, সদস্য অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, সদস্য ফারুক আহমেদ, সদস্য আলমগীর হোসেন, সদস্য শহিদুল ইসলাম রিপন, সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন ও সদস্য ফারুক আহমেদ রিপন।
তাদের ঐক্যবদ্ধ কৌশলে মাসুদুজ্জামান মাসুদ একজন ব্যবসায়ী নেতা থেকে দিনদিন পাকাপোক্ত রাজনীতিবিদে পরিণত হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে বিএনপির রাজনীতিতে তার রাজকীয়ভাবে প্রবেশ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নজির সৃষ্টি করেছে।
বর্তমানে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে অনেকেই তার সাথে রয়েছেন। মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতারা তার সাথে সভা সমাবেশে হাজির হয়ে থাকেন। যেটা মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সাংগঠনিক ব্যর্থতা। সেই সাথে প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুলও এমন জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য কোনে নেতা কর্মেদের কাছে টানতে পারেনি।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ৯০ এর ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিলো। ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক পথচলা। তার প্রবল সাংগঠনিক দক্ষতা ও মেথা রয়েছে। সেইসাথে তিনি একজন সুবক্তা সমাজচিন্তক। যিনি তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সহজেই সাধারণ মানুষজনকে আকৃষ্ট করতে পারেন।
একইভাবে অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ৯০ দশকে তিনি ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপর তিনি যুবদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের হাত ধরে। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য রয়েছেন অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি সামাজিকভাবে এলাকায় বেশ জায়গা করে নিয়েছে।
অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন একসময় বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে রয়েছে। তিনি তার প্রজ্ঞা ও দক্ষতার মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে বেশ জায়গা করে আছেন। সেই সাথে তার নিজ এলাকাতেও তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যা ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করে।
ফারুক আহমেদ ছাত্রদলের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। সেইসাথে বিএনপির রাজনীতিতে তার মোটামুটি অবস্থান রয়েছে। একই সাথে আলমগীর হোসেনেরও বিএনপির রাজনীতিতে নিজ এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
শহিদুল ইসলাম রিপন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। একসময় বন্দর থানা যুবদলের রাজনীতিতে তার শক্তিশালী ভূমিকা ছিল। ছাত্রদলের রাজনীতিতেও তার শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি কলাগাছিয়া ইউনিয়নেও বেশ শক্তভাবে গুছিয়েছেন। মাসুদের পক্ষে পরপর কয়েকটি জমজমাট সভা করে নিজ এলাকা শক্ত অবস্থানের পরিচয় দিয়েছে।
মনোয়ার হোসেন শোখন ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা নেতা। ছাত্রদল যুবদলের রাজনীতিতে তার শক্তিশালী ভূমিকা ছিলো। বর্তমানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যপদে রয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনগুলোতে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বারবার মাসুদের সভা সমাবেশে শক্ত ভুমিকা রাখছেন। তার রাজনীতির পথচলায় অনেক সংগ্রাম ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে। ফারুক আহমেদ রিপনও বর্তমানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যপদে রয়েছেন।
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ত্যাগীদের ভোগের রাজনীতিতে এদের দেখা যায়নি। এক কথায় নিতেদের ক্লিন ম্যান ইমেজ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই ক্লিন ম্যান ইমেজই নিয়েই মাসুদের পক্ষে কাজ করছেন।

আপনার মতামত লিখুন