বন্দরে যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠুর চাঁদাবাজি- দায় স্বীকার করে খত দিয়ে আপোষ
বন্দর প্রতিনিধি:
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত রকমতউল্লাহর ছেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নব্য নেতা মিনহাজ মিঠু কর্তৃক ইট বালু ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নগদ ১২ হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ের অযোগে ভুক্তভোগী হাজী রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু বন্দর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত চাঁদাবাজ মিনহাজ মিঠু নিজেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে চাঁদাবাজি বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করার জন্য অভিযোগের বাদীসহ বিভিন্ন নেতাদের কাছে ধন্যা দিতে দেখা গেছে। অভিযোগের বাদী হাজী রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য মিনহাজ মিঠু আমাকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং বিভিন্ন লোক মারফত তদবির করে। তার পক্ষে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব খন্দকার তদবির করেছে। পরে ব্যবসায়িক ও পারিবারিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মহসিন মেম্বার সাবদি বাজার সভাপতি মিন্টু ও সজীব খন্দকারের উপস্থিতিতে মিঠু মাফ চেয়ে আপোষ নামায় মুচলেকায় স্বাক্ষর করে। সকলের অনুরোধে আমি তাকে মাফ করে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেছি থানায়।

এলাকাবাসী তথ্যসূত্রে জানা গেছে, জানিয়েছে, মিনাজ মিঠু ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে আসছিল। আজমেরি ওসমানের বাহিনী নিয়েই তার চলাফেরা। তার চাচা আসাদুল্লাহ মাস্টার শ্রমিকলীগ সভাপতি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিনহাজ মিঠু মহানগর বিএনপি এক বড় নেতার হাত ধরে মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে। পরে তিনি রাতারাতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা বনে যায় । খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, মিনহাজ মিঠু নাম ভাঙ্গিয়ে তার ভাই বাসেদ ও রাসেল এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর বন্দর ঘাটের বাসুর ডকইয়ার্ড লুটপাটসহ দেলোয়ার চেয়ারম্যানের প্রেট্রোল পাম্পে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। মিঠুর বাড়ি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন দিগলদি হলেও ৫ আগস্টের পর সে বন্দর বাজারে সালাউদ্দিন বেকারিক পিছলে এক আওয়ামি লীগ নেতার মার্কেটে দোকান দখল নিয়ে একটি অফিস করে কিশোরগং চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। ৫ তারিখের আগে তার এই অফিস ছিল না।

উল্লেখ্য , হাজী রিয়াজুল ইসলাম তিনি সাবদি বাজারের উত্তর পাশে ‘মেসার্স আর কে ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। অভিযুক্ত দীঘলদী এলাকার মৃত রহমত উল্লার ছেলে মিনহাজ মিঠু গত দুই মাস ধরে তার কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত ১১ জুন (শুক্রবার) দুপুর ১২টায় মিনহাজ মিঠুসহ আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে তারা ১২ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নেয়।

আপনার মতামত লিখুন