বন্দর ঘাটে সিন্ডিকেট- নাটের গুরু শিবু দাস
নারায়ণগঞ্জ সদরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে নৌকা পারাপারের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত ২ টাকা টোল আদায়ের ঘোষণা দেয় ইজারাদার পক্ষ পাশাপাশি মাঝিদের জন্য ঘাট জমা করা হয় দৈনিক ৮০ টাকা। যা পতিত আওয়ামি লীগ সরকারে সময় বিগত ১৫ বছরে ছিল না। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর করার ঘোষণা দেন ইজারাদার পক্ষ।
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এ ঘাটে নিয়মিত পারাপার করা যাত্রীরা ও মাঝিরা। ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে নদী পারাপারের সময় ২ টাকা টোল দিতে হতো।নৌকা পারাপারে নৌকা ভাড়ার বাইরে কোনো অতিরিক্ত টোল ছিল না।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, এ ঘাটটির এবার ইজারা পেয়েছেন বিএনপি নেতা দিদার খন্দকার। এর আগেও সোলিম ওসমানের প্রতিনিধি হিসেবে এ ঘাট পরিচালনার দায়িত্বে ছিল তিনি। কিন্তু তখনও এ ঘাটে নৌকা পারাপারের সময় যাত্রীদের টোল দিতে হয়নি।
তবে হঠাৎ কেনো অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রয়োজন পরলো অতিরিক্ত টোল আদায়ের এবং মাঝিদের কাছ থেকে দৈনিক জমা আদায়ের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবার বিগত বছরের চাইতে বেশি টাকায় টেন্ডার দিয়ে ঘাট ইজার আনতে হয়েছে। তাছাড়া মাঝি সমিতের সাবেক নেতা ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা বিএনপি ২২ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি শিবু দাস পর্দার অন্তরালে কলকাঠি নাড়ছে। অবস্থান গত দিক থেকে বন্দর খেয়া ঘাটটি পূর্বাংশ ২২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। মাঝি সমিতির উপর শিবু দাসের নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখতে ঘাটের ইজারাদার দিদার খন্দকারকে প্রভাবিত করে মাঝিদের দৈনিক জমা চালু করার কুপরামর্শ দেন। সংক্ষুব্ধ এক মাঝি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান “ঘাট আর ঘাটে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির শিবুর পেশা। শিবু ও তার পরিবারে সদস্যদের ঘাটে ২২ টা নৌকা চলে। সে আমাদের পাসে না থেকে গোপনে দিদার খন্দকারের সাথে মিলছে টাকার লোভে। তার একার লোভে আমরা এতো লোক আজকে বিপদে পরলাম। বন্দর ঘাটে নদীর পারের জায়গায় অবৈধ দোকান বসিয়ে ভাড়া নেয়, এমনকি মৃত নারায়ণ মাঝির অসহায় পরিবারের কাছেও সে ভাড়া নেয়। আপনারা সাংবাদিক, খোঁজ নিয়া দেখেন কোনো কাম কাজ না করে তার পরিবার কোটি কোটি টাকার মালিক। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই শিবুর এতো ক্ষমতা।
তবে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে ইজারাদার দিদার খন্দকার টোল বন্ধ করার আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত লিখুন